কম্পিউটার হার্ডওয়্যার মাদারবোর্ড এর জাদুঘর
মাদারবোর্ডের জাদুঘরে আপনাকে স্বাগতম। ২০০০ সালে আমার কম্পিউটার ব্যবহার শুরু হয়। এর সেই সময়েই আরো পুরানো অনেক কম্পিউটার নিয়ে ঘাটাঘাটি করা হতো।
তাই সহজেই আমি 386, 486, সাইরিক্স, এএমডিকে৬ ইত্যাদি প্রসেসর চলা মাদারবোর্ডের কম্পিউটারে কাজ করি।
আজ আমি পারসোনাল কম্পিউটার আগের মাদারবোর্ডগুলো দেখাবো। ছবিগুলো নেটওয়া হয়েছে ইনিগমা থেকে।
(ছবির উপরে ক্লিক করে আরো বড় করে দেখতে পারেন।)
এক. ৮০৮৮ প্রসেস চলা মাদারবোর্ড
এই মাদারবোর্ডটি ৮০৮৮ প্রসেসর দিয়ে তৈরী। ১৯৮৭ সালে তৈরী। পানসোনাল কম্পিউটার বানানোর শুরুটা এই ৮০৮৮ প্রসেসরের মাদারবোর্ডগুল দিয়েই।
এটিতে ৫১২ কিলোবাইট র্যাম বিল্ডইন
প্রসেসরটি অনেকটা আইসির মতো, সিমেন্স চীপ। আর নিচের কোনায় সিরিয়াল ও প্যারালাল পোর্ট
২. ৮০২৮৬ প্রসেসরের মাদারবোর্ড
এটি HP Vectra সিস্টেমের মাদারবোর্ড। ১৯৮৬ সালে তৈরী। এটিতে অনেকগুলো ISA স্লট দেখা যাচ্ছে।
80286 প্রসেসর যুক্ত করা আছে। ৬৪০ কিলোবাইট র্যাম এবং ৮মেগাহার্জ গতির কম্পিউটার এটা । এই স্লটগুলোতে বিভিন্ন পোর্টের কার্ড লাগানো যায়।
তিন. ৮০৩৮৬ প্রসেসরের মাদারবোর্ড
এ মাদারবোর্ড আলাদা র্যাম স্লট দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া আইএসএ স্লটও আছে। প্রসেসর স্লট রয়েছে। আর ব্যবহার করা হয়েছে ফর্নিক্স বায়োজ। আগের মাদারবো। ৮০৩৮৬ প্রসেসর। ১৯৯১ সালের মাদারবোর্ড এটি।
চার. ইন্টেল ৩৮৬ প্রসেসর মাদারবোর্ড
ইন্টেল ৩৮৬ প্রসেসর এবং ৮টি র্যামসহ মাদারবোর্ডটি দেখতে পাচ্ছেন।
পাঁচ.৪৮৬ প্রসেসরের মাদারবোর্ড
প্রায় একই ধাচের ৪৮৬ প্রসেসরের মাদারবোর্ড এটি। এটিতে ২৫৬ কিলোবাইটের ক্যাশ মেমরী যুক্ত আছে। ১৯৯৪ সালে তৈরী হয়। এটিতে প্রথম PCI স্লট দেখা যায়। ১৬ মেগাবাইট করে সমর্বোচ্চ ১২৮ মেগাবাইট র্যাম ধারন করতে পারে। এই মাদারবোর্ড আগেরগুলোর চেয়ে বেশ আধুনিক বলা চলে।
ছয়. সকেট 3
সকেট 3 এর গিগাবাইট মাদারবোর্ড দেখতে পাচ্ছি। সাদা রঙের ৩টি PCI স্লট এবং কালো রঙের ৩টি আইএসএ স্লটসহ মাদারবোর্ড প্রথম দেখতে পাই। এতে ইন্টেল ৪৮৬ প্রসেসর সাপোর্ট করে। ৩৩ মেগাহার্জ গতির। তাছাড়া। মাদারবোর্ডের গায়ে বেশ কিছু তথ্যও লেথা দেখা যায়। জাম্পার সেটিং, কোন কোন প্রসেসর সাপোর্ট করবে-ইত্যাদি।
সাত. সকেট ৫
প্রসেসর সাপোর্টকরে এরকম গিগাবাইট মাদারবোর্ড।
আট. সকেট ৭ গিগাবাইট মাদারবোর্ড
সকেট ৭ মাদারবোর্ড এটি। এতে ইন্টেল সহ বেশ কিছু প্রসেসর সাপোর্ট করে। গিগাবাইটের এই মাদারবোর্ডটিতেই আলাদা সিপিউই ব্যাটারী, ইউএসবি পোর্টের ব্যবস্থা দেখা যায়। উল্লেখ্য সকেট ৭ এর বিভিন্ন কোম্পানির প্রসেসর ছিল। আর ইন্টেল প্যান্টিয়াম সিরিজ শুরু হয় সকেট ৭ দিয়ে। যার গতি ১০০ মেগাহার্জ।
নয়. সকেট ৭ প্রসেসর ইন্টেল চীপসেট
১৯৯৫ সালের ইন্টেল চীপসেটের মাদার বোর্ড। সকেট ৭ প্রসেসর ।
দশ. দুই প্রসেসরের সকেট ৭ মাদারবোর্ড
সেই সময় কম্পিউটারের গতিবাড়ানো নিয়ে লড়াইয়ের মতো অবস্থা হয়েছিল। বুঝতেই পারছেন ১০০ মেগাহার্জ গতির সিপিউ দিয়ে কিই করা যায়। তাই দুইটি সকেট ৭ প্রসেসরের মাদারবোর্ডটি দেখতে পাচ্ছি।
এগার. ইন্টেল চীপসেট সকেট ৭ মদারবোর্ড
বার. এএমডি চীপসেট সকেট ৭ মাদারবোর্ড
তের. আলী চীপসেট সকেট ৭
আলী চীপসেট মাদারবোর্ড এটি। সাথে AMDk6 প্রসেসর ছিল। ৪০০ মেগাহার্জগতি পর্যন্ত সাপোর্ট করে। এই প্রসেসর আমি অনেকদিন ব্যবহার করেছিলাম। ২০০০ সালের পরে।
চৌদ্দ. সকেট ৮ ইন্টেল চীপসেট
পনেরঃ সকেট ১ বা স্লট প্রসেসর মাদারবোর্ড
একটি স্লটের সাথে প্রসেসর যুক্ত থাকা মাদারবোর্ড অনেক দিনই রাজত্ব করে। বিভিন্ন প্রসেসর একই মাদারবোর্ডে যুক্ত থাকার জন্য এটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। ইন্টেল প্যান্টিয়াম ২ এবং প্যান্টিয়াম ৩ স্লট প্রসেসরগুলো এই মাদারবোর্ডে লাগানো থাকতো। এই সময় প্রসেসরের গতি এবং মাদারবোর্ড আর্কিটেকচার ব্যাপক পরিবর্তন হয়। ২০০০ সালের দিকে এই মাদারবোর্ড উৎপাদিত হয়।
পরবর্তিতে সকেট ৩৭০ আসার পর একটা কার্ডে ৩৭০ পিনের প্রসেসর লাগানো থাকে এবং কার্ডটি মাদারবোর্ডে লাগিয়ে ব্যবহার করা যায়। নিচের ছবিতে স্লটটি দেখানো হলোঃ
ষোল. স্লট এ গিগাবাইট মাদারবোর্ডঃ
আরো একটি স্লট এ মাদারবোর্ড। এএমডি চীপসেট।
সতের. ৩৭০ পিনের প্রসেসর মাদারবোর্ড
ইন্টেল প্যান্টিয়াম ৩ প্রসেসরে ৩৭০টি পিন ছিল। আর এটির জন্যই সকেট ৩৭০.
সারধারনত ৪৫০ মেগাহার্জ পর্যন্ত গতি ছিল এই প্রসেসরের।
সতেরঃ ৪৭৮ পিনের প্যান্টিয়াম ৪ এর মাদারবোর্ড
এই মাদারবোর্ডটি সর্বোচ্চ ২ গিগাবাইট পর্যন্ত র্যাম ও প্যান্টিয়াম ৪ প্রসেসর সাপোর্ট করতো। সাথে ইউএসবি ২.০ বিল্ডইন ভিজিএ। বলে রাখা ভাল প্যান্টিয়াম ৪ প্রসেসর ছিল প্যান্টিয়াম ৩ এর চেয়ে ছোট আকারের। আর পিন ছিল ৪৭৮ টি। প্যান্টিয়াম ৪ প্রসেসর ৩ গিগাহার্জ গতির পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আঠারো. সিস চীপসেট সকেট ৪৭৮ মাদারবোর্ড
উনিশ. ডুয়াল কোর প্রসেসর মাদারবোর্ড
এটি সকেট ৭৭৫ এর মাদারবোর্ড। কোয়াড ও ডুয়েলকোর উভয় প্রসেসর সাপোর্ট করে। ছবি সোর্স
No comments